ডিজিএফআইয়ের ব্ল্যাকলিস্টেড সাংবাদিক এহসান জুয়েল!
দেশ বিরোধী শক্তির সাথে যোগাযোগের কারণে আগে থেকেই ডিজিএফআইয়ের ব্ল্যাকলিস্টেড ছিলেন এখন টিভির অ্যাসাইনমেন্ট ইনচার্জ এহসান জুয়েল। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাটির সূত্র জানিয়েছে, সময় টিভি থেকে এহসান জুয়েলের উপস্থাপনা এবং পদ্মা সেতুর কাভারেজ থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছিলো।
সময় টিভিতে থাকতে জুয়েলের বর্তমান স্ত্রী ডিবিসির প্রেজেন্টার অপলার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। সময় টিভি কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিলেও এহসান জুয়েলকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিট থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। সময় টিভির অ্যাসাইনমেন্ট ডেস্ক ইনচার্জের পদ থেকেও পদচ্যুত করা হয়। ওই গোয়েন্দা সংস্থাটি জুয়েলকে চাকুরিচ্যুত করতে সুপারিশ করেছিলো। তবে সকল অপকর্মে জুয়েলকে বাঁচিয়ে দেন সিনিয়র সাংবাদিক তুষার আব্দুল্লাহ।
সম্প্রতি এখন টিভির এক প্রেজেন্টারকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিং সহ একাধিক নারীঘটিত কেলেংকারিতে করাপশন ইন মিডিয়ার রাডারে ধরা পড়ে এহসান জুয়েল। মিডিয়ার অন্তত চারজন নারীর সাথে অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলিং করেছে এহসান জুয়েল। পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় নিজের স্ত্রীকেও হত্যাচেষ্টা করা এহসান জুয়েল একসময় ৫ হাজার টাকা বেতনে আরটিভিতে চাকুরি শুরু করে।
পূর্বাচলে প্লট, নিজ গ্রামে ৫ তলা বাড়ি করেছে জুয়েল। ঢাকায় বন্ধুদের সাথে জমি কিনে বাড়ি বানাচ্ছে জুয়েল। এই ভয়ংকর নারী নিপীড়কে এক্সপোজের আগেই আমাদেরকে বড় অংকের টাকা অফার করে জুয়েল। এখন পর্যন্ত করাপশন ইন মিডিয়ার করা সবগুলো ভিডিও এবং পোষ্টে টাকা খরচ করে রিপোর্ট মারিয়েছে জুয়েল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির কর্মী জুয়েলকে নিয়ে আমাদের অনুসন্ধান চলছে। একই সাথে এখন টিভির তুষার আব্দুৃল্লাহ, রাইজিং গ্যাংস্টার মাহমুদ রাকিব সহ কয়েকজন সাংবাদিককে নজরদারিতে রেখেছে করাপশন ইন মিডিয়া। খোঁজ নেয় হচ্ছে এখন টিভির মালিকানায় থাকা সিটি গ্রুপের ব্যাপারেও।