সেই অন্বয় কর্মকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
একবছর আগে সময় টিভির ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ অন্বয় কর্মকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে চাকুরি হারায় ভিকটিম। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরের সময় টিভির কর্তৃপক্ষ বাঁচিয়ে দিয়েছিলো অন্বয় কর্মকারকে। সাদিয়া নামে এক সহকর্মীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার প্রমাণও পায় সময় টিভি। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে সময় টিভির সেই ঘটনা ফাঁস করেছিলো করাপশন ইন মিডিয়া। বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসলেও অন্বয়ের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সময় টিভি। একবছর পর সেই সময় টিভির ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক হয়ে উঠেছে, লুচুপানার কারখানা। সেই অন্বয় কর্মকারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানী এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছে সময় টিভির আরো দুইজন নারী সহকর্মী।
অফিসকে না জানিয়ে ১২ জনের টিম নিয়ে আমোদ ফূর্তি করতে বিমানে করে কুয়াকাটা যায় অন্বয় কর্মকার। সেখানে গিয়ে এক নারী সহকর্মীকে আপত্তিকর প্রস্তাব এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এছাড়া, কুয়াকাটায় অবস্থানকালে একই রুমে নিজের স্ত্রী,পরকীয়া প্রেমিকা সাদিয়া এবং অন্বয়ের ঘনিষ্ট আর এক সহকর্মীকে মৌকে নিয়ে রাত যাপন করে। যা দেখে হতভম্ব এবং বিস্মিত হয় ভ্রমণে যাওয়া বাকি সদস্যরা।
যে নারীকে অন্বয় কর্মকার কু প্রস্তাব এবং শ্লীলতাহানীর ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন,ঢাকায় ফিরে সেই নারীকে অফিসের কাছে নানাভাবে বাজেভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে অন্বয় কর্মকার। এদিকে কুয়াকাটায় অবস্থানকালে অন্বয় এবং তার পরকীয়া প্রেমিকা সাদিয়াকে ঘনিষ্ট এবং আপত্তিকর অবস্থায় দেখেছেন বলে অভিযোগ করেছে সময় টিভির দুইজন কর্মী।
সময় টিভির এইচআর ডিপার্টমেন্ট করাপশন ইন মিডিয়াকে জানিয়েছে, অফিসকে না জানিয়ে, কর্মীদের নিয়ে ঢাকার বাহিরে আমোদ ফূর্তির জন্য অন্বয় কর্মকারকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রমাণ থাকার পরেও যার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না,সেখানে সতর্ক করাটাও অনেক কিছু।
অন্বয় কর্মকারের নারী নিপীড়নের ধরণটা একটু ভিন্ন। সময় টিভির ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কে টার্গেট করেই বেশি বেশি নারী সহকর্মী নেয়া হয়। অফিসে বেশি কাজের সুযোগ পেতে হলে এই অন্বয় কর্মকারের সাথে ঘনিষ্ট হতে হয়। ঘনিষ্ট না হলে কর্মক্ষেত্রে ডোমিনেট করা হয়। অতীতে তার যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক থেকে ৩/৪ জন চাকুরি ছেড়েছে।
সময় টিভির ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জের এই আমোদ ফূর্তির স্পন্সর করেছে টেলিভিশনটির দুজন বৈদেশিক প্রতিনিধি। এই দুই বিদেশ প্রতিনিধি কয়েক লাখ টাকা খরচ করে কেনো স্পন্সর করেছে,সেটা আমরা নাই লিখলাম। সেখানকার নারী সহকর্মীরা করাপশন ইন মিডিয়ার কাছে অনুরোধ করে বলেছেন,তারা অন্বয় কর্মকারের যন্ত্রনা থেকে মুক্তিচান। তারা আসলেই কাজ করতে আসেন।
সময় টিভির সহ দেশের মিডিয়ার নিপীড়ন নির্যাতনের শিকার নারী সহকর্মীরা যেকোন সমস্যায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।