সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা হরিলুট?!!
সাংবাদিকদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠা করেছেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। অসহায়,দরিদ্র, অসুস্থ সাংবাদিকদের কল্যাণের লক্ষ্য নিয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিলে বিশ কোটি টাকা দিয়েছেন তিনি। সেই টাকা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম,অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ প্রথম দফায় অনুদান পাওয়া সাংবাদিকদের নাম প্রকাশের পরেও উঠেছিলো। প্রকৃত অসহায় সাংবাদিকরা নয় বরং সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা বেশিরভাগই যাচ্ছে স্বচ্ছল বিত্তবান সাংবাদিকদের হাতে,কোন কোন ক্ষেত্রে ভূয়া নাম সর্বস্ব সাংবাদিকরা অনুদান পাচ্ছেন, ভিন্নপেশার মানুষরাও আছে তালিকায়। সারা দেশ থেকেই সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাচ্ছি আমরা।
লক্ষ্যপুরের তালিকার উপর নজর দেয়া যাক। পল্লী নিউজ ডট কম নামে লক্ষীপুরের একটি অনলাইন নিউজ সাইটের সম্পাদক ওয়াজি উল্যাহ জুয়েল ও তার স্ত্রী রিনা দেড় লাখ অনুদান পেয়েছেন,তবে তাদের অসুস্থতার কোন খবর জানে না খোদ সেখানকার প্রেসক্লাব। ওয়াজি উল্যাহ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। গতবার তিনি পেয়েছিলেন ৫০ হাজার। এবার বউকে সাংবাদিক বানিয়ে স্ত্রীর নামে তুলেছেন ৫০ হাজার। আর নিজে পেয়েছেন এক লাখ।
দৈনিক চৌকস পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি পরিচয় দেওয়া আজিজুর রহমান আজিজ কলেজ শিক্ষক হয়েও ৫০ হাজার টাকা পেয়েছন। অথচ তিনি বেশ স্বচ্ছল।
মোঃ ফয়েজ নামের এক সাংবাদিক দৈনিক নাগরিক ভাবনা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। এর আগে গত বছরে অনুদানের দ্বিতীয় পর্যায়ে আমার সংবাদের কমলনগর উপজেলা প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন এই ফয়েজ।
আমরা শুধু একটি জেলাতেই ৫/৬ টা অসংগতি পেয়েছি। করাপশন ইন মিডিয়া নিশ্চিত হয়েছে, যেসকল সাংবাদিকরা সরকারি অনুদান পাচ্ছেন,তাদের বড় একটা অংশ এই অনুদান পাওয়ার যোগ্য নন। মূলত, কোন সাংবাদিক অনুদান পাবে, সেই তালিকাটা করেন দেশের কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। ভোটের রাজনীতি আর জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের হাতে রাখতে পছন্দের সাংবাদিকদেরই অনুদান দেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রের টাকা অসহায় সাংবাদিকদের দেয়ার নামে বড় ধরণের শুভংকরের ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের টাকার হরিলুটের তথ্য থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। ঘটনার আরো গভীরে যেতে চাই আমরা….চলবে।