সমকামি সম্পাদক দেওয়ান হানিফ নামা!
দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। বণিকবার্তা নামের একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। আজকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানতে পারবেন- কিভাবে সাংবাদিকতার মুখোশ পরে বদলে গেল এক দুর্ধর্ষ রাজাকার পুত্রের পরিচয়, কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডের অনেকেই জানেন না- খুনের মামলার আসামী এবং চেক জালিয়াতির অভিযোগে গা ঢাকা দেয়া একজন ধুরুন্ধর অপরাধীর ভাই এই দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। প্রভাব আর ক্ষমতার অপব্যাবহার করে মাত্র কয়েক বছরেই কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি। অভিযোগ আছে- বিদেশের মাটিতে ঘাপটি মেরে বসে থাকা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের দোসর হিসেবেও। এমনি সুনির্দিষ্ট ডজনখানিক অভিযোগের ভিত্তিতে দেওয়ান হানিফ মাহমুদকে নিয়ে অনুসন্ধানে নামি আমরা। ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে গিয়ে- কেঁচো খুড়তে মেলে সাপের সন্ধান, বিষধর কাল সাপ।
২০০২ থেকে ২০১০, সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারের মাত্র ৮ বছরের মাথায় কি এমন যাদুর কাঠির খোঁজ পেলেন হানিফ মাহমুদ? সিনিয়র রিপোর্টার থেকেই রাতারাতি বনে গেলেন সম্পাদক!! অনুসন্ধানের শুরু এখান থেকেই…।
বনিকবার্তা- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড তাদের নজিরবিহীন অর্থ কেলেংকারী ধামাচাপা দিতে আর ব্যবসায়ীক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে “তথ্যই অগ্রগতি” স্লোগান নিয়ে বাজারে আনে দৈনিক পত্রিকা বনিকবার্তা। সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়- ধান্দাবাজ সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত দেওয়ান হানিফ মাহমুদকে। কপাল খুলে যায় দেওয়ান হানিফ মাহমুদের। মিডিয়ার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলেন অপরাধের সাম্রাজ্য। কর্পোরেট চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিং, ধান্দাবাজি, ক্যাসিনো ক্যালেঙ্কারিসহ এমন কোন বির্তকিত কর্মকান্ডে নেই, যেখানে এই সম্পাদকের পদচারণা নেই। শুধু কি তাই, সহকর্মী নির্যাতনেও সিদ্ধহস্ত এই সম্পাদক। তাও আবার পুরুষ সহকর্মী। হ্যা ঠিকই শুনেছেন, পুরুষ সহকর্মী।
কর্মস্থলে যৌন নিপীড়ন ও সমকামীতা ইস্যুটা দিয়েই শুরু করি। হানিফ মাহমুদের পত্রিকা বনিকবার্তার এক সাবেক কর্মীর সাথে কথা হয় আমাদের। কিভাবে নিপীড়নের শিকার হলেন জানালেন তিনি। দর্শক, ভুক্তভুগীর সামাজিক মর্যাদার ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করা হল। জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ লালন করা, ভদ্রতার মুখোশধারী সাংবাদিক হানিফ মাহমুদ তার সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে এই ভুক্তভোগীকে।
প্রতিকার পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন ভুক্তভোগী। তারপরেও স্বস্তিতে নেই তিনি- কারণ, প্রভাব খাটিয়ে একদিকের পানি আরেকদিকে নিয়ে যান হানিফ মাহমুদ- সে কথা বনিক বার্তার সাবেক-বর্তমান সব কর্মীদেরই জানা। এজন্য এখনও বনিক বার্তার অনেক কর্মী মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছে হানিফ মাহমুদের পাশবিক অত্যাচার।
নিজ প্রতিষ্ঠান বনিক বার্তায় যৌন নিপীড়ন ও সমকামীতা বিষয়ে জানতে চেয়ে দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে- প্রথমবারের পরে আর আমাদের ফোনে সাড়া মেলেনি।
অনুসন্ধানের পরতে পরতে বনিক বার্তা পত্রিকার আড়ালে চলতে থাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিংসহ নানান কুকীর্তির প্রমান জমতে থাকে এই অনুসন্ধান দলের হাতে। সেই তথ্য প্রমাণাদিসহ কুখ্যাত রাজাকারের সন্তান ও খুনের মামলার আসামী এবং চেক জালিয়াতির অভিযোগে গা ঢাকা দেয়া একজন ধুরুন্ধর অপরাধীর ভাই এই দেওয়ান হানিফ মাহমুদের পারিবারিক কুকীর্তির আলামত নিয়ে থাকবে অনুসন্ধানের দ্বিতীয় পর্ব। অপেক্ষায় থাকুন।