জনকন্ঠের ১০০ গনমাধ্যম কর্মী চাকুরিচ্যুতির ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত
হঠাৎ করে জনকন্ঠ পত্রিকা থেকে ১০০ গনমাধ্যম কর্মী চাকুরিচ্যুতির ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত!জানতেন মন্ত্রী এমপি থেকে সরকারের শীর্ষমহল পর্যন্ত! এমনকি পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে বিক্ষোভকারী সাংবাদিকদের ছত্রভঙ্গ করার পরিকল্পনাও ছিল। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল মালিকপক্ষের মাস্তানদেরও। ম্যানেজ করা হয়েছে সরকারে উপরের মহলেও!
আন্দোলনরত সাংবাদিকদের লাঠি পেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ ও চাপ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। যদিও তিনি জনকন্ঠের সাথে সম্পৃক্ত কেউ নন। তবে,সাংবাদিকদের পুলিশ দিয়ে পেটাতে রাজি হননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
চাকুরিচ্যুত সাংবাদিক,জনকন্ঠের মালিকপক্ষ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০ মার্চ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে গন ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে সমাধান খোঁজা হবে বলে জানানো হয়েছে! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ২০ তারিখ পর্যন্ত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত রেখেছে চাকুরিচ্যুত সাংবাদিলরা।
গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত জনকন্ঠ ভবণের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে চাকুরিচ্যুত সাংবাদিক এবং বিভন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
বেতন-ভাতা ও ইনক্রিমেন্ট দাবি করায় দৈনিক জনকণ্ঠের ৬০ শতাংশ (শতাধিক লোক) সাংবাদিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে । প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক ও মালিকের পক্ষ থেকে ৬০ শতাংশ কর্মীর ইমেইলে ১৫ মার্চ একটি করে টার্মিনেশন লেটার (অব্যাহতিপত্র) পাঠানো হয় এবং ওই নির্দেশ ১৫ মার্চ (সোমবার) থেকেই কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।
বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়ে রেখেছিল জনকন্ঠ। সকাল থেকেই জনকন্ঠ ভবনের ভিতর ও সামনে অবস্থান নেয় মালিক পক্ষের মাস্তান এবং পুলিশের মোতায়েন ছিল!