মাসুদকে ভালো হতে দিলো না একাত্তর টিভি!

0

একাত্তর টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি মাসুদ পারভেজ! সম্প্রতি এই সাংবাদিকের অশ্লীল ছবি ভাইরাল হয়েছে। মেইনস্ট্রিম গনমাধ্যমে তা নিয়ে নিউজ হয়েছে! মাসুদের জন্য নারী কেলেংকারি অথবা অন্যের বউ নিয়ে ধরা পড়া নতুন কিছু নয় । সিরাগঞ্জ শহরে বিভিন্ন মহলে নারী সাপ্লাইয়ার হিসেবে কুখ্যাতি আছে এই মাসুদের। দুর্নীতি, প্রতারণা চাঁদাবাজি সহ নানা বির্তকিত কর্মকান্ডের সবকিছু জেনেও এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি একাত্তর টিভি। পিওন থেকে সাংবাদিক কাম নারী সাপ্লাইয়ার মাসুদকে নিয়ে অনুসন্ধান করেছে করাপশন ইন মিডিয়া।

কে এই মাসুদ পারভেজ!

ডাক্তারের কম্পাউন্ডার হিসেবে চাকুরি জীবন শুরু করেন মাসুদ। এরপর বিএমএ-সিরাজগঞ্জ অফিসের পিওনের চাকুরি। স্থানীয় প্রভাবশালী সাংবাদিক অসীম মন্ডলের তদবিরে দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় ঢোকেন। ২০১২ সালে সিনিয়র সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজার তদবিরে ৭১ টিভির প্রতিনিধি হিসেবে যোগদেন! ৯ বছরে কামিয়েছেন অনেক। সিরাজগঞ্জ শপ নামে একটি ইকর্মাস প্রতিষ্ঠান খুলে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন মাসুদ পারভেজ।

সিরাজগঞ্জের প্রেমিক পুরুষ হিসেবে পরিচিত এই মাসুদ একবার এক স্কুল শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ধরা পড়েছিলেন। মাসুদের প্রথম বউ এরপর তার সাথে আর সংসার করেনি!!

নারী নেশায় পাগল মাসুদের সাথে যে মেয়েটির অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়েছে,সে সিরাজগঞ্জের নর্থবেঙ্গল মেডিকেলের ছাত্রী,নেপালি নাগরিক। এই ছাত্রী নর্থ বেঙ্গল মেডিকেলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দেয়। সে সময় এই মেয়ের পক্ষে নিউজ করতে গিয়ে ঘনিষ্টতা হয় মাসুদের।

অভিযোগ আছে,বিএমএ সিরাজগঞ্জে পিওনের চাকুরির সুবাদে সেখানকার অনেক ডাক্তারের সাথে ঘনিষ্টতা মাসুদের। বিভিন্ন মহলে সুন্দরী নারী সাপ্লাই দেয়ার জন্য কুখ্যাতিও আছে তার। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সনাতন দাশ ও মাসুদ সহ কয়েকজন সাংবাদিক একজোট হয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বহু বছর ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে।

সবশেষ এই নেপালি নারীর সাথে ছবি ফাঁস হওয়ার পর মাসুদের বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা নিয়েছে একাত্তর টিভি!? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেতনার বাতিঘর বলে দাবি করা ৭১ টিভির সাথে যোগাযোগ করেছিল করাপশন ইন মিডিয়া!! ৭১ টিভির বার্তাবিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাসুদের নারী কেলেংকারি এবং দুর্নীতির বিষয়টি তারা অবগত আছেন! তবে ৭১ টিভি কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী নয়।

মাসুদের বাবা ছিল দারোয়ান। বেপোরোয়া মাসুদের কর্মকান্ডে বিব্রত সিরাজগঞ্জের সাংবাদিক মহল প্রশাসন, সাধারণ মানুষ। মাদক সেবন,চাঁদাবাজি,নারী নিয়ে নোংরামির অকাট্য তথ্য প্রমাণ থাকার পরেও কেউ কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। কারণ, একাত্তর টিভির মত টিভির সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে কে বিপদে পড়তে চায়। আর সে কারণেই করাপশন ইন মিডিয়া বিশ্বাস করে,মাসুদকে ভালো হতে দিচ্ছে না একাত্তর টিভি । কারণ মাসুদ তার অপরাধকান্ডে সরাসরি একাত্তর টিভির সাইনবোর্ডকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *