করাপশন ইন মিডিয়া প্রয়োজন কেনো!?

0

গণমাধ্যম হল জনগণের মাধ্যম বা জনগণের জন্য যে মাধ্যম। আর এই শব্দের আগে অবধারিত ভাবে যে শব্দটি চলে আসে তা হল “মুক্ত”। গণমাধ্যম হতে হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। জনগণের কাছে অন্য সব পক্ষের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার স্থানই হল গণমাধ্যম।

জনগণের অধিকার – নির্মোহ সত্যটা জানা। সংবাদে একটি ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি পক্ষের অবস্থান, দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন যেমন থাকা উচিত তেমনি বিশ্লেষণ থাকতে হবে এর প্রভাব সম্পর্কেও।

তত্ত্ব দাবি করে, গণমাধ্যমকর্মীদের সৃজনশীলতা, অনুসন্ধানী মেধা আর দূরদৃষ্টি থাকতে হবে। হতে হবে নিরপেক্ষ, অন্তত সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে।

কিন্তু বর্তমানে আমরা কি দেখছি?
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো কি নিজেদেরজে মুক্ত আর নিরপেক্ষ বলে দাবি করতে পারে? ব্যক্তিস্বার্থ, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ, দলের স্বার্থ তারপর বিশেষ বাহিনির স্বার্থ আর সবার উপর সরকারের স্বার্থ। প্রতিটি বিষয় এমন ভাবে সাংবাদিকতাকে প্রভাবিত করছে যে সংবাদমাধ্যম তার স্বকীয়তা হারাচ্ছে। নিজ কর্তব্য, নীতি থেকে চলে যাচ্ছে বহু দূরে।

” সেন্সরশীপ” গলা টিপে ধরছে সংবাদমাধ্যমের। ভয় আর উচ্ছিষ্ট পাবার লোভে সংবাদকর্মীরা তাদের চরিত্রের দৃঢ়তা হারাচ্ছেন। তাবেদারির আড়ালে সুবিধাবাদীদের দখলে চলে যাচ্ছে গণমাধ্যমগুলো। গণমাধ্যম এখন কারো কারো কাছে অর্থ উপার্জন এর মাধ্যম। আংগুল ফুলে কলাগাছ হবার হাতিয়ার। আর এ সুযোগে অসাংবাদিকরা রাজত্ব করছে গণমাধ্যমে। সাংবাদিকদের মধ্যে তৈরী হয়েছে “পন্থী” বিভাজন। সাংবাদিক নেতারা এখন প্রেস ক্লাবে চা নয় পাঁচ তারকা বারে মদের গ্লাসে ঝড় তুলে নির্ধারণ করেন গণমাধ্যমকর্মীদের ভাগ্য তথা চাকরি, বেতন, বকেয়া আর অধিকারের ভবিষ্যৎ। আর প্রকৃত সাংবাদিকরা বঞ্চিত হয়ে পেশা থেকে ঝরে পড়েন।

আমরা মনে করি সাংবাদিকেরা হল সমাজের বিবেক। আর এই বিবেক যখন পঁচে যায়, তখন সমাজের পঁচন অবশ্যম্ভাবী। আর রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ যদি দুর্বল হয়ে যায় তার খেসারত দিতে হয় জনগনকে।

চিহ্নিত ভন্ড, পরিচয় লুকানো অসাংবাদিক, সাংবাদিকতার আড়ালে প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইলিং করে চাঁদাবাজির ঘটনার হোতাদের কারণে কোনঠাসা মূলধারার সাংবাদিক আর সাংবাদিকতা। করাপসন ইন মিডিয়া চায়, এসব অপরাধীদের দূর করে বাংলাদেশের গণমাধ্যম আবার হারানো স্বচ্ছতা ফিরে পাবে। সেই লড়াইয়ে মাঠে থাকবে করাপসন ইন মিডিয়া।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *