বিদায় সাজু রহমান!
প্রধানমন্ত্রীর বিটের বির্তকিত সাংবাদিক সাজু রহমানকে শেষ পর্যন্ত চাকুরিচ্যুত করেছে জিটিভি। বিভিন্ন মহলের প্রবল আপত্তির মুখে গত ০৩ মার্চ সাজুকে টারমিনেশন লেটার ধরিয়ে দেয়া হয়।
চাঁদাবাজি তদবির বানিজ্য,নিয়োগ বানিজ্য,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকতা পরিচয়ে ধান্দাবাজির অসংখ্য অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতে ক্ষমতবান এই নারী সাংবাদিককে চাকুরিচ্যুত করেছে জিটিভি।
করাপশন ইন মিডিয়া প্রথম সাজু রহমানের দুর্নীতি, কোটি কোটি টাকার সম্পদ, চাঁদাবাজির প্রমাণ নিয়ে নিউজ করেছিল। এই সাজু রহমান পরিচয় দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মিডিয়া অ্যাডভাইজার। সবশেষ একটি সরকারী হাসপাতালে পিএম অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়েন সাজু।
সাজু বলে বেড়ান শেখ হাসিনা তাকে রাত বারোটার পর ফোন দিয়ে পরামর্শ নেয়। জিটিভি থেকে চাকুরিচ্যুত সাজু অন্তত ১০০ কোটি টাকার মালিক। গত ১৩ মাস ধরে চাঁদাবাজির অভিযোগে জিটিভি থেকে সাসপেন্ড ছিলেন সাজু রহমান।
এই সময়ে জিটিভির মালিক পক্ষের কাছে বিভিন্ন মন্ত্রী এমপি দিয়ে অন্তত ১৩ বার ফোন করিয়ে সুপারিশ করেছিলেন সাজু। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সদ্য চাকুরিচ্যুত ডিপিএস আশরাফুল আলম খোকনও সাজুকে বাঁচাতে জিটিভিতে ফোন দিয়েছিলেন।
তবে সাজুর চাঁদাবাজির খবর করাপশন ইন মিডিয়া সহ সোস্যাল মিডিয়া ভাইরাল হওয়ার পর সাজুকে নিয়ে পিএমও সহ সাংবাদিক মহলে প্রবল আপত্তি ওঠে। শেষ পর্যন্ত, সাজু রহমানকে চাকুরিচ্যুত করে অনেক বির্তকে নিজেদের দ্বায় এড়িয়েছে, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী বীরপ্রতীক গাজী দস্তগীরের চ্যানেল জিটিভি। সাজু রহমানকে চাকুরিচ্যুত করলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে জিটিভিতে সাজুর ক্রাইম পার্টনার সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম।