‘‘মিডিয়া বেগমস‘‘
প্রতারণা জালিয়াতি এবং অর্থ আত্মসাৎ মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামী,কয়েকদফা জেলও খেটেছেন। তারপরও নিয়মিত ৭১ টিভিতে খবর পড়ে যাচ্ছেন,প্রেজেন্টার শারিমন স্বপ্না।
মিডিয়াকে ঢাল বানিয়ে যারা প্রতারণা,জালিয়াতি করেন,তাদের মধ্যে স্বপ্না একটু ব্যতিক্রম। বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে টার্গেট নির্ধারণ,প্রেম,পরকীয়ার সম্পর্ক থেকে বিয়ে,তারপর বড় অংকের সম্পদ টাকা হাতিয়ে নেয়া! স্বপ্নার রঙ্গিন বিষে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়েছে অন্তত তিনটি সংসার। এক জামাইয়ের সাথে ঘর করাকালীন সময়ে পালিয়ে গেছেন আর একজনের হাত ধরে। গোটা চারেক বিয়ে করেই কামিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা এবং ফ্ল্যাট সহ বেশ সম্পদ।
তার সৌন্দর্যের জালে সর্বশান্ত হওয়াদের বিরুদ্ধে আবার নিজেই মামলা দিয়ে ভিকটিমদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছেন এই দাপুটে প্রেজেন্টার। করাপশন ইন মিডিয়া নিশ্চিত হয়েছে, স্বপ্নার বেপোরোয়া কর্মকান্ডগুলোকে সমর্থন দিয়ে শারমিনের জন্য ভুক্তভোগীদের হুমকি ধামকি, এমনকি মামলায় প্রভাব বিস্তারও করেছে একাত্তর টিভির কয়েকজন শীর্ষকর্তা। ব্যবসায়িক চুক্তির নামে এক ব্যবসায়ীকে ট্রাপে ফেলে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন শারমিন। সেই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন,একাত্তর জার্নালের কো-অর্ডিনেটর রহমত আস সারবী খান রানা।
৩০ লাখ লুটে নিয়ে ফাঁদে ফেলে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পরে, উল্টো মামলা করেন শারমিন। একজনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে থাকা অবস্থায় বিয়ে করেন এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক আশরাফুল কবির আসিফকে। এজন্য শারমিন নিজেই তৈরি করেন জাল কাবিননামা। যদিও বেপোরোয়া শারমিনের সাথে আসিফের ঘরও টেকেনি।
শিপলু রহমান সুমন নামে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে কাবিন নামার ২০ লক্ষ টাকা এবং ষাট ভরি স্বর্ন নিয়ে নেন এই শারমিন। এছাড়াও একাত্তর টিভির এই লাস্যময়ী প্রেজেন্টার কল্যানপুরের যে ফ্লাটটিতে বাবা মা নিয়ে বসবাস করছেন সেটি কিনে দেন ধানমন্ডির ধনী ব্যবসায়ী সুমন,যিনি ছিলেন স্বপ্নার সাবেক স্বামী। শারমিনের বাবা মায়েরও ওই জায়গা আরো একটি ফ্ল্যাট আছে।
সুমনের সাথে সংসার চলাকালীন সময়ে বিয়ে করেন আরিফ নামে আর এক ব্যবসায়ীকে। বিজ্ঞাপন নির্মাতা সবুজকেও একইভাবে বিয়ের ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করেন। একের পর এক বিয়ে বানিজ্য করতে গিয়ে একাধিক মামলায় কয়েকবার জেলও খাটেন শারমিন। একাত্তর টিভির হেড অফ নিউজ শাকিল আহমেদের ব্যবসায়িক পার্টনার শাহিনের সাথেও বিয়ে করে প্রতারণা করেছেন শারমিন।
এই নারীর টার্গেট মূলত বিবাহিত বিত্তবান পুরুষ। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে,লিভ টুগেদার…তারপর ছলেবলে কলে কৌশলে হাতিয়ে নেয় বড় অংকের টাকা। ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ করলে মামলা দেয়া হয়,একাত্তর টিভির প্রভাব খাটানো হয়। শারমিনকে নিয়ে নিউজ করায় গনমাধ্যমের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা করেছেন এই মামলাবাজ নারী।
৭১ টিভিতে শাকিল আহমেদের সুপারিশে চাকুরি হয় শারমিন স্বপ্নার। তারপর থেকে আরো বেপোরোয়া তিনি। শারমিন স্বপ্নার নামে সবমিলিয়ে ছয়টি মামলা রয়েছে। চারটি সাধারণ ডায়েরি আছে। ঢাকা সিএমএম কোর্টের ৭১/২০২০ নং মামলায় পুলিশের ব্যুরো অফ ইনভেস্টিকেশন পিবিআই সম্প্রতি শারমিনকে আসামি করে চার্জশিট দিয়েছে। এতো সব জালিয়াতির পরেও শারমিন স্বপ্না নিয়মিত খবর পড়ে যাচ্ছেন চেতনার ফুল ফোটানো টিভি একাত্তরে। গনমাধ্যমকে হাতিয়ার বানিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন শিকারের খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
এই শারমিন স্বপ্নার কিছু ব্যক্তিগত আপত্তিকর ছবি করাপশন ইন মিডিয়ার হাতে আছে। এডিটরিয়াল পলিসি অনুযায়ী আমরা কোন অশ্লীল ছবি ব্যবহার করি না। শারমিন স্বপ্না একাত্তর টিভিতে এক উর্ধতন কর্মকর্তার রক্ষিতা বলে ব্যাপক গুঞ্জন আছে।
শারমিন স্বপ্নার মত গনমাধ্যমে আরো কয়েকজন ‘‘মিডিয়া বেগমস‘‘ রয়েছে। যারা দিনে মিডিয়া কর্মী। রাত হলে আর এক অন্ধকার জগৎতের বাসিন্দা। মিডিয়ায় কাজ করা সেই সব হেরেমদের নিয়ে নিয়ে করাপশন ইন মিডিয়ার নতুন ধারাবাহিক আয়োজনের আজ পড়ুন একাত্তর টিভির শারমিন স্বপ্নার জালিয়াতির খবর!
অনুসন্ধান: এডিটরিয়াল প্যানেল, Corruption in Media.