spot_img
Tuesday, July 1, 2025
More
    Homeমিডিয়া পাড়াসাংবাদিককে গুলি করে হত্যার হুমকি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার!

    সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার হুমকি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার!

    -

    ইউটিউব ভিডিও লিংক:

    দৈনিক দেশ রুপান্তরের অনলাইন টকশোতে উপস্থিত ছিলেন চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে চলমান আন্দোলনের নেতা শরিফুল ইসলাম এবং অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিপন গাজী। তিনি নিজেকে মহানগর দক্ষিণের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন।

    অনুষ্ঠান শেষে সেই অনলাইন টকশোয় রিপন গাজীকে কম সময় দেখানো হয়েছে এমন অভিযোগ এনে দেশ রুপান্তর মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক জিহাদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন রিপন গাজী। এ ঘটনায় প্রাণনাশের শঙ্কায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় আজ মঙ্গলবার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) অন্তর্ভুক্ত করেছেন জিহাদুল। জিডি নম্বর ৯৯৮।

    হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন সমকালকে বলেন, ‘একজন সাংবাদিক জিডিটি করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাকে ডাকা হয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    জিডিতে সাংবাদিক জিহাদুল ইসলাম বলেন, “গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) দেশ রূপান্তরের অনলাইন লাইভ অনুষ্ঠানে রিপন গাজী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ‘লাইভে সেই অনুষ্ঠানে তাকে কম দেখানো হয়েছে’ এমন দাবিতে আমার পূর্বপরিচিত বড় ভাই আকরাম হোসেন রাত ৯টা ৫৭ মিনিটে আমাকে ফোন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের চায়ের দোকানের পাশের গলিতে যাই। সেখানে পূর্বপরিচিত আকরাম ভাই আমাকে শাসাতে থাকেন এবং বলতে থাকেন রিপন গাজীকে কেন কম দেখানো হলো? এক পর্যায়ে রিপন গাজী আমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন এবং মারধর করেন। রিপন গাজী প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোকে গুলি করে মেরে ফেলব। এরপর সোমবার রিপন গাজী আমার বাসায় লোকজন পাঠায় এবং মোবাইল ফোনে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। উল্লেখিত বিষয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

    ভুক্তভোগী জিহাদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘টকশোতে কম দেখানোর ঘটনায় কেউ এমন কাজ করতে পারে! আকরাম ও রিপন গাজীর অতর্কিত হামলায় আমার শার্ট ছিঁড়ে যায়। আমাকে রিপন বলেছেন, তোকে যেখানে পাব সেখানে গুলি করব। সেদিনের পুরো ঘটনার অডিও আমার কাছে আছে। পরবর্তীতে ফোনেও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। আকরাম ভাই একজন সাংবাদিক এবং আমার ক্যাম্পাসের বড় ভাই। তিনি ডেকে নিয়ে আমাকে শাসান। আমি উল্লেখিত দুজনের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। অভিযোগের বিষয়ে রিপন গাজীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’

    স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি গাজী মেজবাহুল হোসেন সাচ্চু সমকালকে বলেন, ‘রিপন গাজীর বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। তিনি কোন পদে আছেন খতিয়ে দেখছি। তিনি সংগঠনের কেউ হলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    Related articles

    Stay Connected

    0FansLike
    0FollowersFollow
    0FollowersFollow
    0SubscribersSubscribe
    spot_img

    Latest posts